বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি

মাশরুম চাষ বাংলাদেশের একটি লাভজনক ও স্বাস্থ্যসম্মত কৃষি উদ্যোগ জানুন কিভাবে ঘরে বসেই কম খরচে মাশরুম চাষ শুরু করবেন ও মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা এবং এটি বাজারে বিক্রি করার সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি


পোস্টসূচীপত্রঃএই আর্টিকেলের মধ্যে শুধু বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়নি। এছাড়া ও মাশরুম সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ও আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো জানলে আপনার অনেক উপকারে আসবে।

ভূমিকা | বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি

মাশরুম হলো এক ধরনের ছত্রাক,যা বহু বছর ধরে নানা দেশেই খাদ্য ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাদ্য তালিকায় মাশরুম একটি জনপ্রিয় খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা যেমন রুচিকর তেমনি এতে স্বাস্থ্য উপকারিতা ও রয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশে মাশরুম চাষ একটি নতুন সম্ভাবনাময় খাত 
হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে অল্প জমিতে কম খরচে এবং খুব সহজ পদ্ধতিতে চাষযোগ্য এই খাদ্যটি শুধু পুষ্টিগুণে ভরপুরই নয় বরং ব্যবসায়িক দিক থেকেও এটি দারুন লাভজনক।

মাশরুমের পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি


মাশরুমে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, মেলেনিয়াম, পটাশিয়াম ও নানা ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সহায়তা করে।কাঁচা বা রান্না করা মাশরুম সল্প ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য হিসেবে স্বীকৃতি রয়েছে। মাশরুমে ভিটামিন বি থাকে।
এছাড়া ও এতে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান কপার এবং পটাশিয়াম ও থাকে। এতে চর্বি, শর্করা এবং ক্যালরিযুক্ত উপাদানের মাত্রা কম থাকে। কিন্তু এতে ভিটামিন সি অনুপস্থিত রয়েছে। এতে অতিবেগুনি রশ্মীর প্রতিফলনের ফলে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
                                 প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে পুষ্টিগুণ রয়েছে
পুষ্টি উপাদানপরিমাণ
শক্তি১১৩ কেজি
শর্করা৪.১ গ্রাম
স্নেহ পদার্থ০.১ গ্রাম
প্রোটিন২.৫ গ্রাম
ভিটামিন৫.৮ গ্রাম
ক্যালসিয়াম১৮ মিলিগ্রাম
ফসফরাস১২০ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম৪৪৮ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম৬ মিলিগ্রাম
জিংক১.১ মিলিগ্রাম
কপার০.৫ মিলিগ্রাম

 

মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা

মাশরুম এক ধরনের ছত্রাক যা প্রায় দেশেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এর অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে নিম্নে এর উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলোঃ
  • উচ্চ পুষ্টিগুণঃমাশরুমে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, এন্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি।
  • ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ এতে থাকা বিটা গ্লুকোন শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করেঃ এতে থাকা এনটিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও প্রাকৃতিক ইনসুলিন উপাদান থাকার কারণে এটি রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মাশরুমে এনজাইম ও প্রাকৃতিক ইনসুলিন থাকে যা চিনিকে ভাঙতে পারে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ মাশরুম একটি কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার। এতে ক্যালরি কম থাকায় এবং উচ্চ ফাইবার যুক্ত হওয়ায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়কঃ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মাশরুমে থাকা উপাদান স্তন ও পোস্টেড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে মাশরুম খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
  • হজমে সহায়কঃএতে থাকা ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলনের পুষ্টি উপাদান শোষণকে ও বাড়াতে সাহায্য করে।
  • দাঁত ও হাড় শক্ত করতেঃ মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও ভিটামিন ডি আছে শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে এ উপাদানগুলো বেশ কার্যকরী।
  • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ এতে থাকা খনিজ লবণ দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • অ্যানিমিয়া প্রতিরোধেঃ মাশরুম খেলে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
  • ত্বকের জন্যঃ নিয়াসিন ও রিবোফ্লাবিন থাকে মাশরুমে যা ত্বকের জন্য উপকারী। মাশরুমে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ পানি থাকে যা ত্বক নরম ও কোমল রাখে।

মাশরুমে কি এলার্জি আছে

হ্যাঁ, মাশরুমে এলার্জি থাকতে পারে, যদি ও এটি তুলনামূলকভাবে বিরল। তবে কিছু মানুষ মাশরুম খাওয়ার পর শরীরে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন। মাশরুম থেকে নির্গত স্পোর গুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাশরুমে এনার্জির সাধারণ উপসর্গ সমূহঃ
  • হাঁচি, সর্দি বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
  • বমি বমি ভাব বা পেটে ব্যথা।
  • ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, লাল হয়ে যাওয়া।
  • মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা বোধ করা।
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে এনাফাইল্যাক্সিস (Anaphylaxis) ও হতে পারে, যা একটি প্রাণঘাতী অবস্থা।

কেন হয় এই এলার্জি

  • কিছু মানুষের শরীর মাশরুমে থাকা প্রোটিন বা ছত্রাকের স্কোরকে বিদেশি উপাদান হিসেবে চিনে ফেলে, ফলে অনেকের শরীরের ইমিউন সিস্টেম অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
  • বিশেষ করে যাদের ছত্রাক, ধুলাবালি বা ফুড এলার্জি আছে, তারা মাশরুম খেলে সমস্যায় পড়তে পারেন।
  • কিছু মাশরুমে প্রাকৃতিকভাবে থাকা প্রোটিন শরীর বিপদজনক বলে ভুল করে চিনে ফেলে।

মাশরুম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত

  • প্রথমবার খেলে অল্প করে খাওয়া উচিত।
  • রান্না করে খেলে এলার্জি সম্ভাবনা কম হয়।
  • যদি এলার্জি হয়, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • অর্গানিক বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন উৎসের মাশরুম খাওয়া উচিত।

ব্ল্যাক মাশরুমের উপকারিতা

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ব্ল্যাক মাশরুমে (β-glucan) বেটা গ্লুকোন নামক একটি উপাদান। শরীরের ইমুউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং টিউমারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
  • হার্ট সুস্থ রাখেঃ এতে উপস্থিত "eritadenine" নামক যৌগ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়কঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ব্ল্যাকমাশরুমে থাকে লেন্টিনান(lentinan) নামক উপাদান যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে ধ্বংস করতে পারে বা থামিয়ে দিতে পারে। যার ফলে ব্লাক মাশরুম খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
  • চর্মরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধেঃ এতে থাকায এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন সেলেনিয়াম ও ভিটামিন সি ত্বকের কোষ রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের চিহ্ন কমায়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ ব্লাক মাশরুমে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি। তাই এটি খেলে সহজে পেট ভরে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হাড় মজবুত করেঃ ব্লাক মাশরুমে ভিটামিন ডি থাকে যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং হাড়কে শক্তিশালী রাখে।
  • রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ করতেঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী কারণ এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মাশরুম খাওয়ার নিয়ম

সঠিক নিয়মে মাশরুম  খাওয়ার উপায়

  • শুধুমাত্র খাওয়ার উপযোগী মাশরুম খান সব মাশরুম খাওয়ার যোগ্য নয়, বাজার বা দোকান থেকে নির্ভরযোগ্য ব্রান্ডের বা পরিচিত উৎস থেকে কেনা মাশরুমই খান।
  • রান্না করে খাওয়া উত্তম। কাঁচা মাশরুমে কিছু এন্টিনিউট্রিয়েন্ট থাকতে পারে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভালোভাবে ধুয়ে সেদ্ধ বা ভেজে রান্না করে খাওয়া উচিত।
  • অল্প করে শুরু করুন যদি আপনি প্রথমবার মাশরুম খান তাহলে অল্প পরিমাণে খান এবং শরীরের প্রতিক্রিয়া দেখুন। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি হতে পারে তাই প্রথমে অল্প পরিমানে খেয়ে দেখা উচিত।
  • অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খান মাশরুম স্যুপ, ভাজি, পোলাও বা চাইনিজ ফ্রাইড রাইসের সাথে খুব ভালো মানিয়ে যায়। এটি প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ তাই নিরামিষ খাদ্য তেও এটি দুর্দান্ত।
  • সংরক্ষণে সতর্কতা ফ্রেশ মাশরুম ফ্রিজে রেখে দুই-তিন দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। শুকনো মাশরুম দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়, তবে ঠান্ডা ও শুকনো জায়গায় রাখতে হবে।

মাশরুমম খেলে কি হয়

মাশরুম খেলে শরীর ভালো থাকে, পুষ্টি মেলে কিন্তু ভালোভাবে রান্না করে ও সঠিক উৎস থেকে কিনে খেতে হবে। মাশরুম খাওয়ার কিছু ভালো দিক এবং খারাপ দিক উভয় রয়েছে চলুন আমরা সেগুলো জেনে নেইঃ

মাশরুম খাওয়ার ভালো দিকগুলো

  • পুষ্টি বাড়ে মাশরুমে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ডি, বিটামিন ডি, সেলেনিয়াম যা শরীরকে শক্তিশালী করে।
  • রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে ইমিউন সিস্টেমকে মজবুত করে। জ্বর, সর্দি সহ অনেক ভাইরাল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • কম ক্যালরি ও বেশি ফাইবার থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী।
  • এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার বিরোধী উপাদান হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

মাশরুম খাওয়ার খারাপ দিকগুলো

  • বিষাক্ত মাশরুম খেলে বিপদ সব মাশরুম খাওয়া যায় না জঙ্গলে বা অজানা উৎস থেকে তোলা মাশরুম বিষাক্ত হতে পারে। যার ফলে বমি, মাথা ঘোরা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
  • এলার্জি কোন কোন মানুষের শরীর মাশরুম সহ্য করতে পারে না। তাই তাদের মাশরুম খেলে এলার্জির সমস্যা বেড়ে যায়, ফলে ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে।
  • বেশি খেলে হজমের সমস্যা অতিরিক্ত মাশরুম খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা হজমে সমস্যা হতে পারে।

মাশরুম চাষের সহজ পদ্ধতি

পরিবেশ ঠান্ডা ও অন্ধকার পরিবেশে ভালো জন্মায় ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা।
জায়গা বারান্দা, ঘরের কোনা বা ছাদে করা যায়।
বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি


উপকরণ 
  • গমের খড় 
  • প্লাস্টিক ব্যাগ
  • পানি স্প্রে বোতল 
  • মাশরুম স্পন (বীজ)।
ধাপ
  • গমের খড় ধুয়ে ভিজে রাখতে হবে।
  • ব্যাগে ভরে স্পন মিশিয়ে রাখতে হবে।
  • প্রতিদিন হালকা পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
  • ১৫ থেকে ২০ দিন পর মাশরুম বেরোতে শুরু করবে।

লাভজনক দিক

  • ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করে এক মাসে চার হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
  • বাজারে প্রতি কেজি মাসুম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দামে বিক্রি হয়।
  • হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধ কোম্পানিতে উচ্চ চাহিদা রয়েছে এই মাশরুমের।
  • মাশরুম চাষ শুধু ব্যক্তিগত পুষ্টির উৎস নয় বরং একটি লাভজনক কৃষি উদ্যোগ। চাষের সহজ পদ্ধতি ও বাজারে চাহিদার কারণে এটি তরুণদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে। এখনই শুরু করুন মাশরুম চাষ পুষ্টি ও আয় দুটোই একসাথে।

বাজারজাতকরণ ও বিক্রির টিপস

বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি


  • স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যায়।
  • ফেসবুক, অনলাইন শপ এবং কৃষি পণ্য প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করুন।
  • হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরাসরি সরবরাহ করা যায়।

লেখকের শেষকথা | বাংলাদেশে মাশরুম চাষ, উপকারিতা, লাভ ও চাষের সহজ পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে সম্পূন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন মাশরুম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে।
এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে এই ওয়েবসাইটি নিয়মিত ফলো করুন। আর আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url